ইউরোপের প্রধান দেশগুলো ফিলিস্তিনের গাজা পুনর্গঠনে আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এই পরিকল্পনাটি “বাস্তবসম্মত” এবং এটি গাজার বিপর্যস্ত জীবনযাত্রার দ্রুত ও টেকসই উন্নতির প্রতিশ্রুতি দেয়।
গাজা পুনর্গঠনের এই পরিকল্পনাটি মূলত মিসর প্রস্তাব করেছে, যা গত মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব লিগের সম্মেলনে অনুমোদিত হয়। এরপর শনিবার সৌদি আরবের জেদ্দায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর বৈঠকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং এতে গাজার ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ না করেই পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে।
তবে এই পরিকল্পনাটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান এবং তাঁর পরিকল্পনায় গাজাবাসীদের জর্ডান ও মিসরে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্প গাজাকে “মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা” বা ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট এলাকায় পরিণত করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা আরব দেশগুলো ও ফিলিস্তিনিরা নাকচ করেছে।
আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি মূলত ট্রাম্পের প্রস্তাবের একটি বিকল্প। এটি পাঁচ বছরের মধ্যে গাজাকে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করেছে, যাতে বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত না করেই অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব হয়। ইউরোপের দেশগুলো এই উদ্যোগকে সমর্থন করলেও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এতে কোনো ইতিবাচক মনোভাব দেখায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, গাজার পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যমত না হলে সেখানে মানবিক সংকট আরও প্রকট হতে পারে। তাই সমঝোতার মাধ্যমে একটি কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো জরুরি।