হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী বক্তা মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, “সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ এমন হওয়া উচিত, যাতে ইসলামবিরোধী শক্তির উত্থান না ঘটে এবং তারা আশকারা না পায়।” তিনি দাবি করেন, দেশে ইসলাম, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, যা মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য উদ্বেগের বিষয়।
সম্প্রতি এক ধর্মীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মামুনুল হক বলেন, “বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এ দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সমাজব্যবস্থা ইসলামের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। কিন্তু আজ কিছু ধর্মবিরোধী গোষ্ঠী দেশের এই ইসলামী চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তারা নানা উপায়ে ইসলামের মৌলিক বিধানগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন মিডিয়া এবং তথাকথিত প্রগতিশীল মহল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। অথচ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং কখনো কখনো কিছু সিদ্ধান্ত এমনভাবে আসে, যা ইসলামবিরোধীদের শক্তিশালী করে তোলে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ কঠোর হাতে দমন করে।”
মামুনুল হক আরও উল্লেখ করেন, “উলামায়ে কেরামরা সবসময় দেশ, ইসলাম ও মানবতার পক্ষে কাজ করেছেন। কিন্তু আজ তাদের অনেককে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ইসলামপ্রিয় জনগণ তা মেনে নেবে না।” তিনি দেশের আলেম-উলামা, তৌহিদী জনতা ও সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, “আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, যেন কোনো ষড়যন্ত্রকারী ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে না পারে।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা এমন কোনো নীতি গ্রহণ করবেন না, যা ইসলাম ও মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত হানে। ইসলামবিরোধী শক্তিকে প্রশ্রয় দিলে এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে।”