রমজান মাসে খাদ্যাভ্যাস ও ঘুমের সময়সূচি বদলে যায়, যা শরীরের ওপর নানা প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই রাতে তারাবিহ, সেহরি ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন না, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
১. ক্লান্তি ও কর্মক্ষমতা হ্রাস
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না। ফলে দিনের বেলায় ক্লান্তি, অবসাদ ও মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে, যা কাজের দক্ষতা কমিয়ে দেয়।
২. মাথাব্যথা ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া
কম ঘুম শরীরে স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) বাড়িয়ে দেয়, যা মাথাব্যথা, মেজাজ খারাপ হওয়া এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। এতে রোজা রাখা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাওয়া
ঘুম পর্যাপ্ত না হলে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়, ফলে সহজেই ঠান্ডা, জ্বর বা অন্যান্য সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৪. হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া
ঘুমের অভাবে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন (লেপটিন ও ঘ্রেলিন) ব্যাহত হয়, যা অতিরিক্ত ক্ষুধা বাড়াতে পারে। ফলে ইফতারে অস্বাস্থ্যকর ও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
৫. হৃদরোগ ও রক্তচাপের ঝুঁকি
অপর্যাপ্ত ঘুম রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যারা আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাদের জন্য এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে।
পরামর্শ
- রাত জেগে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এড়িয়ে চলুন।
- তরল ও হালকা খাবার খান, যা ঘুমের গুণগত মান ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- দিনে স্বল্প সময়ের পাওয়ার ন্যাপ নিন (১৫-২০ মিনিট)।
- নিয়মিত সেহরির পর অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রোজার উপকারিতা পুরোপুরি পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে সঠিক ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা জরুরি।