বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, দেশে নারীবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তারা বলছেন, নারী নির্যাতন, হয়রানি, বৈষম্য এবং সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা দুঃখজনক।
বাম জোটের দাবি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য এবং ঘরে-বাইরে নারীদের ওপর সহিংসতা বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নারীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং হেনস্তার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে।
বাম নেতারা উল্লেখ করেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব, অপরাধীদের শাস্তির নিশ্চয়তা না থাকা এবং পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে নারীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় প্রভাবশালীরা অপরাধীদের রক্ষা করায় ন্যায়বিচার হয় না, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে।
বাম জোটের অভিযোগ, নারী নির্যাতন ও নারীবিদ্বেষী অপরাধ দমনে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তারা বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা নারীর সুরক্ষা নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়নের অভাবে তা কার্যকর হচ্ছে না।
বাম নেতারা আরও বলেন, নারীবিদ্বেষী বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তিরা শাস্তির বাইরে থাকছেন, যা অন্যদেরও এই ধরনের বক্তব্য ও কার্যক্রমে উৎসাহিত করছে। রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে অপরাধীরা বারবার রেহাই পাচ্ছে, ফলে নারীদের প্রতি সহিংসতা আরও বাড়ছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোট নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ, দ্রুত বিচার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারীবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
তারা বলেন, নারীবিদ্বেষী অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে নারীবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার আহ্বান জানায় বাম জোট।
বাম জোট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।